এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের দেড় দশক পরও বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে আমাদের বিচার বিভাগের প্রাধান্যের বিষয়টিকে খুঁজতে হয়। যেমন খুঁজতে হয় বিচার বিভাগের স্বাধীনতার বিষয়টি। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে এসে আমাদের বিচার বিভাগ কেমন স্বাধীন? তা সাবেক বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দারের এক বিদায়ী বক্তব্যে ফুটে উঠেছিল। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি থেকে বিদায় নেয়ার সময় তিনি জনাকীর্ণ আদালতেই বলেছিলেন ‘সাংবিধানিকভাবে আমাদের বিচার বিভাগ স্বাধীন। কিন্তু বাস্তবে কতটুকু, তা আমরা সকলেই জানি এবং বুঝি।’
![](https://150593535.v2.pressablecdn.com/wp-content/uploads/2024/02/Channeliadds-googlenews.jpg)
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড আয়োজিত আলোচনায় মাননীয় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের এক তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য শুনলাম। বক্তব্যের একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতি বললেন, ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থায় প্রধান বিচারপতির কোন ভূমিকা (রোল) নেই!’
![](https://150593535.v2.pressablecdn.com/wp-content/uploads/2024/02/Channeliadds-bkash-05.05.2024.jpg)
অসহায় বিচারপ্রার্থীর আইনী সেবা কার্যক্রম পরিচালনার যে জাতীয় বোর্ড সেখানে দেশের প্রধান বিচারপতির কোন ভূমিকা (রোল) না থাকাটা অবশ্যই ভাবনার বিষয়। এ বিষয়টি যে স্বাভাবিক নয়, তা আমরা আমাদের প্রধান বিচারপতি বক্তব্যে এক্ষেত্রে ভারতের উদাহরণ টানা থেকে উপলব্ধি করতে পারি। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘ভারতের লিগ্যাল সার্ভিস অথোরিটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক সে দেশের প্রধান বিচারপতি। এছাড়া প্রধান বিচারপতির মনোনীত আরেকজন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সে অথোরিটির প্রধান নির্বাহী। আর একজন সিনিয়র ডিস্ট্রিক্ট জাজ রয়েছেন সে অথোরিটির সাচিবিক দায়িত্বে। তাদের (ভারতের) সব জায়গায় কিন্তু বিচার বিভাগের প্রাধান্য।
প্রধান বিচারপতির বক্তব্যে প্রতিবেশী দেশের বিচার বিভাগের প্রাধান্যকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরার বাস্তবতায় প্রকারান্তরে আমরা আমাদের বিচার বিভাগের প্রাধান্যকে যে খুঁজছি তা উপলব্ধি করতেই পারি। এছাড়া জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালনা বোর্ডে আমলাদের যে প্রাধান্য সেটাও প্রধান বিচারপতি তার বক্তব্যে তুলে ধরেছেন।
![](https://150593535.v2.pressablecdn.com/wp-content/uploads/2024/02/Channeliadds-Reneta-16-04-2024.gif)
একপর্যায়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রসঙ্গ টেনে প্রধান বিচারপতি বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তৈরি করলাম। প্রথমে এই কমিশনের প্রধান ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতি। কিন্তু তারপর কী হলো? তারপর থেকে কি হয়েছে তা আপনারা দেখছেন। মানবাধিকারের সাথে লিগ্যাল এইডের একটা সংশ্লেষ আছে, তাই এসব বিষয়ে সরকারকে অনেক-অনেক বেসি ভাবতে হবে।’
প্রধান বিচারপতির এই অভিব্যক্তি সরকার গভীরভাবে অনুধাবন করুক এবং আইন- বিচার, মানবাধিকার ও আইনগত সহায়তা সংক্রান্ত বিষয়ে বিচার বিভাগের প্রাধান্য পাক।
(এই বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)
https://www.channelionline.com/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87/
2024-05-15 17:23:25