মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে সাজাপ্রাপ্ত বন্দীকে কনডেম সেলে বন্দী রাখা যাবে না বলে হাইকোর্টের দেয়া রায় ২৫ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
![](https://150593535.v2.pressablecdn.com/wp-content/uploads/2024/02/Channeliadds-googlenews.jpg)
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র পক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার আদালত বুধবার এই আদেশ দেন।
![](https://150593535.v2.pressablecdn.com/wp-content/uploads/2024/02/Channeliadds-bkash-05.05.2024.jpg)
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে বন্দী রাখা যাবে না বলে গত ১৩ মে রায় দেন বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ। আদালত মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির বিচারিক প্রক্রিয়া যেমন- ডেথ রেফারেন্স, আপিল, রিভিউ এবং রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার মতো প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের কনডেমড সেলে রাখা যাবে না বলে রায় দেন। সেই সাথে এসব ধাপ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বলা যাবে না বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।
![](https://150593535.v2.pressablecdn.com/wp-content/uploads/2024/02/Channeliadds-Reneta-16-04-2024.gif)
এছাড়া আদালত তার রায়ে বিশেষ রোগে আক্রান্ত আসামি ছাড়া কনডেমড সেলে থাকা সকল আসামিকে দুই বছরের মধ্যে সাধারণ সেলে স্থানান্তরিত করতে কারা কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ দেন। হাইকোর্ট তার রায়ে আরো বলেন, শারীরিক সমস্যা, যৌন সমস্যা, সংক্রামক রোগের মতো কোনো ব্যাধি থাকলে আসামিকে আলাদা করে রাখা যাবে। তবে, এক্ষেত্রে কারাগারে ওই ব্যক্তির বিষয়ে প্রাথমিক শুনানি করে তার বক্তব্য নিয়ে তাকে কনডেমড সেলে রাখা যাবে।
এছাড়া উপযুক্ত ক্ষেত্রে আদালত যাতে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের জামিন বিবেচনা করেন এবিষয়টিও রায়ের পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেছে হাইকোর্ট। আর নতুন জেলকোড ও নতুন কারা আইন ও বিধিতে যেন এই রায়ের নির্দেশনা প্রতিফলিত হয় সে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
একইসাথে সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে তথ্য অধিকার আইনে কেউ ডেথ রেফারেন্স বা মৃত্যুদণ্ডাদেশের কোনো তথ্য চাইলে তা সরবরাহ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ও বার্ষিক বিবরণীতে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা, চূড়ান্তভাবে কত আসামির সাজা কমেছে, কত আসামির মৃত্যুদণ্ড লাঘব হয়েছে সে সংক্রান্ত তথ্য পরিসংখ্যান দিয়ে প্রকাশ করতে রায়ে বলা হয়েছে।
একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এসংক্রান্ত প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট করেন চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুল বশির এবং কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম। ওই রিটে উল্লেখ করা হয় যে দেশে ২ হাজারের অধিক আসামি কারাগারগুলোতে কনডেম সেলে রয়েছে।
রিটের যুক্তিতে বলা হয়, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন নিতে হয়। আবার মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বিভাগে আপিল দায়েরের বিধান রয়েছে। এরপর আবার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে (আপিল বিভাগে) আপিল করার সুযোগ রয়েছে। সেই রায়ের বিরুদ্ধে আবার রিভিউ (পুনর্বিবেচনার) আবেদনের সুযোগও রয়েছে। সবশেষে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চেয়ে আবেদন করতে পারেন আসামি। রাষ্ট্রপতি ক্ষমার আবেদন গ্রহণ না করলেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। কিন্তু দেশের বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ঘোষণার পরই সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কনডেম সেলে বন্দী রাখা হচ্ছে।
https://www.channelionline.com/%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6-%E0%A6%9A%E0%A7%82%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D-2/
2024-05-15 15:34:48