ইউরোপের দেশ স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোকে গুলি করেছে এক বন্দুকধারী। হত্যার উদ্দেশে তাকে একাধিকবার গুলি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে দেশটির পক্ষ থেকে। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন ফিকো।
এই হামলার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন্দের তাৎক্ষনিক নিন্দা জানিয়েছেন। এছাড়া নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপের আরও বেশ কয়েকটি দেশ।
তবে এই হামলার পর উঠে আসছে ফিকোর রাজনৈতিক জীবনের বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা। ২০০৬ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত প্রথম প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এরপর ২০১২-২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তাকে তীব্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে হয়।
কিন্তু কেন হয়েছিল এই আন্দোলন? ২০১৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি নিজ বাড়িতে হত্যার শিকার হন স্লোভাকিয়ার এক অনুসন্ধানী সাংবাদিক জ্যান কুসিয়াক ও তার বাগদত্তা মারটিনা কুসনিরোভা। জ্যান মূলত দেশটির ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন করেছিলেন। সেসব ব্যক্তিরা সরাসরি ফিকোর রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত ছিলেন।
ফিকো সেসময় সাংবাদিকদের গালমন্দ করেছিলেন বেশ কয়েকবার। সাংবাদিকদের গাধা, প্রোস্টিটিউট বলেছিলেন। যদিও পরে জ্যানের হত্যাকারীকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন নিজেই।
টানা দুই সপ্তাহের বেশি দেশজুড়ে আন্দোলনের পর ১৫ মার্চ পদত্যাগ করেন রবার্ট। এরপর ২০২৩ সালে নির্বাচনের পর আবারও স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তিনি।
এটিএম/
https://jamuna.tv/news/537607
2024-05-15 22:58:17