তাইওয়ানের চারপাশে একদিনে চীনের ৪৫টি যুদ্ধবিমান দেখা গেছে। স্বশাসিত দ্বীপটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আজ বুধবার এ তথ্য জানিয়ে চীনকে এ ধরনের ‘উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড’ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, চলতি বছরে তাইওয়ানের আকাশে এটাই একদিনে সর্বোচ্চ চীনা সামরিক বিমানের উপস্থিতি বলে উল্লেখ করেছে তাইপে। স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপটির নতুন প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব গ্রহণ করার আগে নতুন করে উত্তেজনা উস্কে দিলো বেইজিং।
তাইওয়ানের বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে আগামী ২০ মে স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপটির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন। তিনি চলতি বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর থেকেই উত্তেজনা বেড়েছে।
তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন দ্বীপ মনে করলেও চীন বরাবরই একে তাদের মূল ভূখণ্ডের অংশ বলেই মনে করে। প্রায়ই তাইওয়ানের আকাশসীমায় প্রবেশ করে চীনা সামরিক বিমান। যদিও সরাসরি কখনও কোনো সামরিক অভিযানে তারা অংশ নেয়নি। কিন্তু এটা তাইওয়ানের জন্য বড় ধরনের একটি অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চীন তাইওয়ানের নতুন প্রেসিডেন্টকে একজন ‘বিপজ্জনক বিচ্ছিন্নতাবাদী’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছে, তার কারণে ওই দ্বীপে সংঘাত শুরু হবে এবং তিনি দ্বীপটির পতন ডেকে আনবেন।
বুধবার তাইপেইয়ের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৫টি চীনা বিমান এবং ৬টি নৌযানকে তাইওয়ানের আশেপাশে শনাক্ত করেছে। এর মধ্যে ২৬টি তাইওয়ান প্রণালীর মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে বলে মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণা আরও জানিয়েছে, তারা পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং যথাযথ প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।
এর আগে গত এপ্রিলে তাইওয়ানের চারপাশে চীনের ৩০টির মতো সামরিক বিমানের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এছাড়া গত সেপ্টেম্বরে ১০৩টি চীনা বিমানের উপস্থিতি শনাক্ত হয় যার মধ্যে ৪০টি তাইওয়ান প্রণালীর মধ্যরেখা অতিক্রম করেছিল।
https://www.risingbd.com/international/news/555381
2024-05-15 15:14:03