সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার ৬৫ দিন পর অবশেষে চট্টগ্রামে ফিরলেন ২৩ নাবিক। জাহাজটিতে থাকা নাবিকের মধ্যে ছিলেন ফেনীর দাগনভূঞার ইব্রাহিম খলিল উল্ল্যাহ বিপ্লব। দীর্ঘ অপেক্ষার পর বিপ্লব ঘরে ফেরার ঈদ আনন্দময় অপেক্ষার প্রহর গুনছেন পরিবার।
বিপ্লব ফেনীর দাগনভূঞার মাতুভূঞা ইউনিয়নের মোমারিজপুর গ্রামের আবুল হোসেনের বড় ছেলে। পরিবারে তার দুই ছেলেসন্তান রয়েছে। তিনি জাহাজের ইলেকট্রিশিয়ান পদে কর্মরত ছিলেন।
বিপ্লবের বয়োবৃদ্ধ মা রৌশনারা বলেন, এত বৃদ্ধ বয়সে গত দুই মাস কান্নাকাটি আর খেয়ে না খেয়ে দিন কাটিয়েছি। প্রথম যেদিন আমার ছেলে জলদস্যুর কবলে পড়েছে খবরটি শুনি আমি অজ্ঞান হয়েছি। এরপর থেকে প্রতিটি মুহূর্ত যেন উৎকণ্ঠা আর দুশ্চিন্তায় কেটেছে। ছেলের মুক্তি পাওয়ার পর নিজের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে। আজ ছেলে বাড়ি ফিরবে এটি শুনে নিজের কাছে এত বেশি আনন্দিত মনে হচ্ছে মনে হয় আজ আমার পরিবারে ঈদ। আমার ছেলে অনেক বড় একটা বিপদ থেকে ফিরে আসছে আজকে ছেলেকে কাছে পাব। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।
বিপ্লবের স্ত্রী উম্মে সালমা সোনিয়া বলেন, এবারের বাড়িফেরা অন্য সময়ের চেয়ে একদম ভিন্ন। এতদিন নানা অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে দিন পার করেছি। যখন কোম্পানি বা অন্য কারও ফোন আসত তখন খুব দুশ্চিন্তায় পড়তাম। কখন কি সংবাদ আসে। আজ আমাদের জন্য ঈদের আনন্দের চেয়েও বেশি। শুরু থেকে জাহাজ মালিকপক্ষ, সরকার এবং গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সকলের চেষ্টা ও সহযোগিতার কমতি ছিল না।এজন্য সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
বিপ্লবের বড় ছেলে রেদোয়ান বিন ইব্রাহিম বলেন, রাতে আব্বু বাসায় আসবে বলেছে। অনেকদিন আব্বুর সঙ্গে দেখা হয়নি। আজকে অনেক ভালো লাগতেছে আমার।
বর্তমানে বিপ্লবের স্ত্রী তার দুই ছেলেকে নিয়ে ফেনী শহরে নাজির রোডে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ দুপুরে এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা।
https://www.kalbela.com/country-news/87992
2024-05-14 22:32:34