অসহনীয় গরমে অস্বস্তিতে জনজীবন। একটু পরপরই গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। সামনে তরল ও রসযুক্ত যা পাচ্ছে তা-ই খেয়ে নিচ্ছে পথচারীরা। সেটা যদি হয় তরমুজ, তাহলে তো কথাই নেই।
গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে তরমুজের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। খরতাপে তরমুজের পাশাপাশি চাহিদা বাড়ছে ডাব, বেল, বাঙ্গি, আনারসের। তবে তা দ্বিগুণ দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
হঠাৎ দাবদাহ বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে কেন্দুয়া বাজারে ছোট সাইজের ১০০ টাকার তরমুজ ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ সপ্তাহখানেক আগেও তরমুজের দাম ছিল স্বাভাবিক পর্যায়ে।
কেন্দুয়া বাজারে দেখা যায়, ছোট, মাঝারি ও বড় সাইজের তরমুজ আগের তুলনায় বেশি দামে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। বিক্রেতাদের দাবি, সরবরাহ কম থাকায় দাম বেশি দিয়ে কিনতে হয়।
ব্যবসায়ীরা জানান, ছোট সাইজের ১০০ তরমুজ ৯ হাজার টাকার পরিবর্তে ১৮ হাজার টাকা, মাঝারি সাইজের তরমুজ ১৮ হাজারের পরিবর্তে ২৬ হাজার টাকা ও বড় তরমুজ ২২ হাজার টাকার পরিবর্তে ৩৮ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে। এ কারণে তারা বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
এদিকে খুচরা একটি ছোট সাইজের তরমুজ ২০০-২৫০ টাকা, মাঝারি ৩০০-৩৫০ টাকা এবং বড় তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৫৫০ টাকা দরে। এ দামে তরমুজ কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা।
তরমুজ ব্যবসায়ী রবি মিয়া জানান, আমরা উত্তরবঙ্গ থেকে তরমুজ ক্রয় করে থাকি, আর প্রতিটি তরমুজ আগের চেয়ে বেশি দামে কিনতে হয়, তাছাড়া পরিবহন ও শ্রমিকের খরচ বেশি দিতে হয় বিধায় আগের চেয়ে একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।
আরেক ব্যবসায়ী পন্ডিত মিয়া বলেন, তরমুজের দাম শুরুতেই তুলনামূলক স্বাভাবিক ছিল। এখন তা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। এ কারণে ক্রেতাও কম। দৈনিক ২০০ তরমুজ বিক্রি করতে কষ্ট হয়।
তরমুজ ক্রেতা আসাদুল করিম বলেন, গত কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড গরম পড়ছে। গরমে তরমুজ না হলে প্রশান্তি পাই না। বাড়ির সদস্যদের জন্য মৌসুমি ফল বেশি দাম হলেও কিনতে হচ্ছে।
আরেক তরমুজ ক্রেতা অটোরিকশা চালক কাজল মিয়া বলেন, যে তরমুজ কয়দিন আগেও ১০০ টাকায় কিনেছি এখন সেই তরমুজ ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাই বিক্রেতারা এখন একটি ছোট তরমুজকে ২০ পিস করে কেটে বিক্রি করছে। আস্তা তরমুজ কেনার সামর্থ্য নাই, তাই প্রতি পিস কাটা তরমুজ ২০ টাকা করে কিনে খাচ্ছি।
https://www.kalbela.com/country-news/88656
2024-05-17 09:40:03