এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
নড়াইলের লোহাগড়ায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল ও একই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আকবর হোসেন লিপনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পূর্ব থেকে দ্বন্দ ছিল। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে পূর্ব বিরোধের জেরে ভিকটিম মোস্তফা কামাল এবং আকবর হোসেন লিপনের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সংঘর্ষে লিপন গুরুতর আহত হয় এবং তার একটি হাত কাটা পড়ে। পরে লিপন ও তার অনুসারীরা মোস্তফা কামালের উপর প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ খুঁজতে থাকে।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সিকদার মোস্তফা কামালকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গ্রেপ্তাররা হলেন- সাজেদুল মল্লিক (২৫), পাভেল শেখ (২৮), মামুন মোল্যা (২৬) ও রহমত উল্লাহ শেখ (১৯)। গত বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব-৬, র্যাব-৭ এবং র্যাব-১০ এর যৌথ আভিযানে চট্টগ্রামের বায়েজীদ ও নড়াইল এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১০ মে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে গোয়েন্দা নজরদারির ধারাবাহিকতায় প্রধান আসামি সাজেদুলসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।
তিনি বলেন, লিপনের নির্দেশনায় ঘটনার দিন সকালে তার ছোট ভাইয়ের বাড়িতে গ্রেপ্তার সাজেদুলসহ অন্যান্য আসামিরা ভিকটিম মোস্তফা কামালকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী মোস্তফা কামালের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে ঘটনার দিন সন্ধায় সাজেদুলসহ অন্যান্য আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রসহ ঘটনাস্থলে অবস্থান করে।
ভিকটিম মোস্তফা কামাল ঘটনাস্থলে পৌঁছামাত্র সাজেদুল পিস্তল দিয়ে ৩ রাউন্ড গুলি করে। যার মধ্যে ২ রাউন্ড গুলি ভিকটিমের বুকে ও পিঠে লাগে এবং গুরুতর আহত হয়। পরে সাজেদুলসহ অন্যরা ঢাকা, পতেঙ্গা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে যায়।
র্যাবের মুখপাত্র বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যান্য আসামি গ্রেপ্তারসহ ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধারে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সাজেদুল স্থানীয় একটি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ১ম বর্ষের ছাত্র। সে আকবর হোসেন লিপনের অন্যতম প্রধান সহযোগী। তার বিরুদ্ধে নড়াইলের লোহাগড়া থানায় মারামারি, চুরি ও চাঁদাবাজি সংক্রান্ত ৩টি মামলা রয়েছে। রহমত উল্লাহ শেখ পেশায় একজন শ্রমিক। সে গ্রেফতারকৃত সাজেদুলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এ হত্যাকান্ডে তাকে ১ লাখ টাকায় চুক্তিবদ্ধ করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে লোহাগড়া থানায় মারামারি সংক্রান্ত ১টি মামলা রয়েছে। পাভেল স্থানীয় একটি স্কুল থেকে এইচএচসি পর্যন্ত পড়ালেখা করে। সে লিপনের অন্যতম সহযোগী হিসেবে কাজ করতো। তার বিরুদ্ধে ৩টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার মামুন মোল্যা পেশায় একজন চালক। তার বিরুদ্ধে ২টি মামলা রয়েছে।
https://www.channelionline.com/former-up-chairman-killed-in-revenge-for-cutting-off-his-hand/
2024-05-17 15:23:04