রোগীর স্বামীর অভিযোগ, তিনি লিফট খোলার জন্য কয়েকজন কর্মকর্তার কাছে ধরনা দিয়েও সহায়তা পাননি। কর্মকর্তারা লিফট চালু করতে না পারুন, লিফটম্যানদের তো খুঁজে বের করতে পারতেন। ভেতরের লোকজন ধাক্কাধাক্কি করায় লিফট খোলা যায়নি বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যে সাফাই গেয়েছে, সেটাও অগ্রহণযোগ্য। আটকে পড়া লোকজন যখন ভেতর থেকে লিফটম্যানদের সঙ্গে কথা বলেছেন, তখন কর্তৃপক্ষ তাঁদের কাছে এ বার্তা দিল না কেন?
লিফটে কেবল মারা যাওয়া রোগীর স্বজনেরা ছিলেন না, আরও মানুষ ছিলেন। তাঁদের কাছ থেকেই সাংবাদিকেরা আটকে পড়া সময়কালটা জেনেছেন। তাঁদের সঙ্গে কথোপকথনের রেকর্ডও সাংবাদিকদের কাছে আছে। অতএব, সংবাদমাধ্যমের ওপর দায় চাপিয়ে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করা যাবে না। এ হাসপাতালেই ৩ মে ১২ তলার দেয়ালের পাশের ফাঁকা স্থানে পা ফসকে পড়ে এক রোগী মারা যান। হাসপাতালে এ রকম ফাঁকা স্থান থাকার কথা নয়।
https://www.prothomalo.com/opinion/editorial/q37ekyled6
2024-05-14 09:15:00